পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কচু শাখের ঘন্ট
কচুশাক আয়রনসমৃদ্ধ বলে এর কদর অনেক বেশি। আমাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে সব ডাক্তাররাই কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন। কচু শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি ও ক্যালসিয়াম ও আয়রন। কচুশাকে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় মানুষের দেহের পরিপাকতন্ত্রের প্রক্রিয়ায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখে। সাধারানত রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কচুশাক খাওয়া একরকম আবশ্যক বললেই চলে। সাধারণত যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, বিশেষ করে তারা প্রচুর পরিমাণে কচুশাক খেতে পারেন। আমাদেরশরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কচুশাক দারূণ ভূমিকা রাখে।
তাহলে জেনে নিই কীভাবে রাঁধতে হয় কচু শাকের ঘন্ট:
উপকরণ: কচু শাক, কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ, রসুন, পেয়াজ কুচি, টমেটো, লবণ, এলাচি, দাড়চিনি, পাঁচপোড়ন এবং তেল।
রান্নার বিবরণ:
১. প্রথমে কচু শাখ বড় বড় করে কেটে নিন।
২. এরপর ডেকচিতে কচুশাক, রসুন, লবণ, টমেটো একসাথে দিয়ে ছোট আচে সিদ্ধ করতে দিন। চুলার আঁচ বড় করে দিলে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে মনে রাখবেন।
৩. সেদ্ধ হয়ে এলে ঘুটে ফেলুন। যদি ঘরে কিছু না থাকে তাহলে ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে আলুভর্তার মতো করে চটকে নিন।
৪. একটি কড়াইয়ে খুব অল্প তেল দিয়ে তার মধ্যে শুকনা মরিচ ভেজে নিন। হয়ে এলে নামিয়ে ভালোভাবে চটকে নিন। এরপর তেলে ভালো করে বাদামী রঙে পেয়াজ ভাজুন। বাদামী হওয়ার আগেই সেখানে দুটো দাড়চিনি, এলাচি দিয়ে দিন। এক কোয়া রসুনের সাথে পাঁচফোঁড়নও হালকা ভেজে নিন। শেষে শুকনা মরিচ ঢেলে দিন। সবশেষে কচু শাক ঢেলে দিন। কিছু সময় রেখে নামিয়ে ফেলুন।
৫. এরপর রুটি, চিতই পিঠা অথবা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ